আবু বাকর আস-সিদ্দীক

620.00৳ 

নবিজির পর সবচে সেরা প্রজন্ম কারা? নিসন্দেহে সাহাবিরা। আর তাদের মাঝে সবচে সেরা আবু বাক্‌র। আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন।

তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা জানতে পারি নবিজির সীরাহ থেকে। নবিজির মৃত্যু পর্যন্ত তাদের জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র পাই তাতে। কিন্তু নবিজির মৃত্যুর পর এই উম্মাহকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কাণ্ডারিদের কর্মপদ্ধতি, শাসক-জীবন, উম্মাহর বিষয়আশয় পরিচালনায় তাদের অবদান আর সংগ্রাম-মুখর জীবন সম্পর্কে তেমন একটা জানি না আমরা। আর এ সুযোগে বহু জলঘোলা করার সুযোগ পেয়েছে শী‘আ, খারিজি, উগ্রপন্থী আর প্রাচ্যবিদেরা।

আবু বাক্‌র যে খলীফা হলেন তা কীভাবে হলেন? শী‘আরা যে বলে খলীফা হওয়ার কথা নাকি ছিল ‘আলির। কিন্তু সাহাবিরা নাকি ষড়যন্ত্র করে তাকে পাশে রেখে নিজেরা খলীফার পদ বাগিয়েছেন। আসলেই কি তাই? তিনিই যে পরবর্তী খলীফা হবেন তা নিয়ে কুরআন-সুন্নাহয় কোনো ইঙ্গিত আছে? নাকি সবই দৈব?

খিলাফা কি রাজা-বাদশাহ সিস্টেম বা আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাচীন কোনো রূপ? নাকি স্বতন্ত্র কোনো বিষয়? শূরার মাধ্যমে পরামর্শ আর গণতান্ত্রিক ভোট ব্যবস্থা কি একই জিনিসের পুরোনো আর নতুন নাম?

ইসলামি রাষ্ট্র শাসনের পাশাপাশি কীভাবে তাদের দিন চলত? তাদের বেতন-ভাতা, পরিবারের খরচাপাতি কীভাবে চলত? ইসলামি রাষ্ট্রে চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমদের সামাজিক অবস্থান কেমন ছিল? কেন যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে এত কঠোর হয়ে পড়লেন আজীবন অত্যন্ত কোমল মনের মানুষ বলে যাকে চিনি, সেই আবু বাক্‌র?

সীরাহ বইগুলোতে আমরা ভণ্ড নবিদের কথা শুনি। তাদের এই ভণ্ডামির ধরন কী ছিল? কীভাবে খলীফা তাদের দূর করলেন? খলীফার সময়ে ইসলামের সংস্কৃতি কেমন ছিল?

মাত্র দু বছরের ব্যবধানে একজন দুর্বার রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আবু বাক্‌র কীভাবে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ইসলামকে? খালিদ বিন ওয়ালিদকে দিয়ে কীভাবে কোন শক্তিবলে জয় করে নিয়েছিলেন ইরাক, পারস্য আর বৃহত্তর সিরিয়া অঞ্চল?

পরবর্তী খলীফা ‘উমারকে কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলো?

এতসব কিছু থেকে আমরা আজ ২০১৮ সালে কী শিখি? কীভাবে ইসলামের সেরা প্রজন্মের অনুসরণে ফিরিয়ে আনতে পারি গৌরবোজ্জ্বল সেই সময়?

এগুলো সবকিছুর উত্তর মিলবে ড. ‘আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির ব্যাপক গবেষণালব্ধ বিখ্যাত গ্রন্থ “আবু বাক্‌র আস-সিদ্দীক রা.: জীবন ও শাসন” বইটিতে।

পথ ধরে তিনি দাঁড়ালেন। জনপদটি ছিল দাঁড়াবার নিমিত্তমাত্র। পুরো পৃথিবীই তখন পাপের সাম্রাজ্য। জগতের সর্বস্তর আর জীবনের সবখান থেকেই মুছে গেছে বেঁচে থাকবার মানে। এই নরকের পিঠে তিনি নামলেন আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ হয়ে। তাঁর চোখে ত্রিকালের মায়া, বুকে কম্প্র-দরদের টলোমল জল, মুখে আল্লাহর মোহন-মহান বাণী; তিনি স্থবির এই মানুষ-জীবনের মূলে ফুঁকে দিলেন জীবনের দিশা।

সূর্যের উদয় হলো জীবনের তটরেখা ধরে। তিনি আল্লাহর নবি ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি রাহমাত সকল জগতে।

হলে কী হবে—মমতায় ভরা কুসুমকুড়ানো জীবন ছিল না তাঁর,ছিল নির্মমতায় ঘেরা। বন্ধুর পথ আর অনতিক্রম্য চড়াই পাড়ি দিতে হয়েছে, সমগ্র জীবন জুড়ে। একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ছিলেন সঙ্গী, তাঁর একমাত্র রফিকে আ‘লা। এই মহামানবের অপূর্ব আনুগত্যমোড়া অভূত নবি-জীবনের গ্রন্থনা এ বই । এখানের পুরোটা জুড়েই ছড়ানো ঘুমিয়ে-পড়া জীবনের জীয়নছোঁয়া; এখানে প্রভুর আলোতে দীপ্যমান হয়ে আছে পথ, পাথেয় ও একজন পথিক—একজন ‘রউফুর রহীম’।